করোনার প্রভাবে বিপাকে পড়েছেন খুলনার প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ক্ষতির মুখে অনেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে কর্মী ছাটাইয়ের পাশাপাশি বড় ধরণের ছাড় দিয়ে বাজারে টিকে থাকতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। ঘুরে দাঁড়াতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্যাকেজ বা ঋণ সুবিধা প্রদানের দাবি বিশ্লেষকদের।
নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে গার্মেন্টস পণ্য, টেইলার্স, ক্রোকারিজ আইটেম বিক্রির অভিজাত দোকান। করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
পণ্য বিক্রিতে বড় ধরনের ছাড় দিয়ে টিকে থাকতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ে পণ্য বিক্রির লোভনীয় অফারেও মিলছে না কাঙ্খিত ক্রেতা।
প্রায় একই অবস্থা ফার্নিচার বিক্রেতা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং মুদি ব্যবসায়ীদেরও। বেচা বিক্রি কম হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে দেনার পরিমাণ। সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করলেও কোন সুবিধা পাননি এ ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্যাকেজ বা ঋণ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও নাগরিক নেতারা।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাংকে সরাসরি লেনদেন না থাকায় তাদেরকে ঋণ দিতে আগ্রহী হচ্ছে না ব্যাংকগুলো। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সাথে সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানালেন খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস।
ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।